ব্লগারে নেমচিপ এক্সনহোষ্ট বা অনান্য কাষ্টম ডোমেইন কিভাবে সেটআপ করতে হয়
আসসালামু আ'লাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে চলে আসলাম ব্লগার ডোমেইন সেটআপ নিয়ে। ব্লগার গুগল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম যাতে একজন ইউজার ফ্রি ব্লগস্পট সাবডোমেইনে একটি ব্লগ খুলতে পারেন এবং তার লিখনি প্রকাশ করতে পারেন। তবে আমি এই পোষ্টে কিভাবে ব্লগারে একটি সাইট খুলবেন সে সম্পর্কে লিখতে বসিনি, বরং ব্লগ সাইটটিতে কেন, কখন কিভাবে, কোথা থেকে ডোমেইন সেটআপ করবেন এবং ডোমেইন ক্রয় ও সেটআপ সম্পর্কিত আপনারা যেসকল সমস্যা ফেস করেন তার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাদের পুরো পোষ্টটি পরার ধৈর্য্য নেই তারা উপরের টেবিল অফ কন্টেট থেকে আপনি যা পড়তে চাচ্ছেন তা বেছে নিন। আমি নিজে নেমচিপ (Namecheap) থেকে ডোমেইন ক্রয় করি তাই এই পোষ্টের ছবিগুলো নেমচিপের ইন্টারফেস দেখবেন। তবে সব ডোমেইন প্রোভাইডারের ডোমেইন সেটআপ পদ্ধতি একই।
ডোমেইন নেম কি ও কেন দরকার?
তো সবার আগে দেখে নেওয়া যাক কেন আপনি কাষ্টম ডোমেইন কিনবেন, আদৌ কিনবেন কিনা? আমি ধরে নিচ্ছি আপনি প্রফেশনালি বা প্যাসিভ ইনকামের সোর্স কিংবা আমার মতো শখের বসেই ব্লগিং শুরু করতে যাচ্ছেন। যার অর্থ আপনি চাচ্ছেন বিশাল এই ইন্টারনেট জগতে আপনার সাইটের পরিচিতি লাভ করাতে, আর এখানেই একটি ইউনিক, অর্থসম্পন্ন ডোমেইন নেম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্লগস্পট থেকে আপনাকে যে ডোমেইন নেমটি অর্থাৎ ইউআরএল (URL) দেয়, সেটি ব্লগার সাবডোমেইন হয়। যেমন- "yoursite.blogspot.com" এখানে yoursite হচ্ছে সাবডোমেইন, blogspot হচ্ছে মূল বা টপ ডোমেইন আর ".com" হচ্ছে ডোমেইন এক্সটেনশন। ডোমেইন নেম কিনার সময় নামের দিকে বেশ কিছু জিনিস লক্ষ রাখতে হয়, যেমন নামটি শর্ট কিনা। ডোমেইন নেম ৬-৮ অক্ষরের হতে সর্বোচ্চ ১২ বা তার ছোটো হলে আরও ভালো হয় একটি সাইটের জন্য। যদি পুরানো ডোমেইন কিনেন সেক্ষেত্রে দেখে নিন ডোমেইনটিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা। ".xyz", ".tk" এই টাইপের ডোমেইন এক্সটেনশন এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে ".tk" একদমই ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। আপনার যদি টাকার স্বল্পতা থাকে, সাইট পাঁচমিশালি কন্টেন্টর হয় ".xyz" ব্যবহার করতে পারেন। তা নাহলে এসব এক্সটেনশন নি কিনাই ভালো। অনেকে ".xyz" -কে এডাল্ট সাইট মনে করে। আবার এই ডোমেইন এক্সটেনশনগুলোর বেশিরভাগই দেখা যায় রিনিউ করতে প্রায় সমান টাকাই যায়।কেন দরকার একটি টপ লেভেল ডোমেইন? একটি টপ লেভেল ডোমেইন আপনার সাইটের ব্র্যান্ডিং এর কাজ করে। ডোমেইন নেম থেকে ইউজার বুঝতে পারে আপনার সাইটের কন্টেন্ট নিশ কি। টপ লেভেল ডোমেইন থাকলে ইউজার ও সিস্টেমের আস্থা অর্জন করা যায়। একটি টপ লেভেল ডোমেইনের মূল ফোকাস হচ্ছে ব্র্যান্ডিং আর এসইও (SEO)। কাজেই আপনারা যারা ভাবছেন যে আমি প্রথমে ব্লগার বা অন্য কোনো সাবডোমেইনে একটি ব্লগ খুলবো এবং পরে ট্রাফিক আসলে ডোমেইন কিনবো, এটি খুবই বাজে একটি চিন্তা। কারণ তাহলে একে তো আপনার র্যাংক করাতে কষ্ট হবে, তারপর আপনাকে নতুন ডোমেইনে সাইটটি আবার র্যাংক করাতে হবে। এছাড়া সার্চ কনসোল সেটআপ, এডসেন্স এপ্লাই ইত্যাদি কাজগুলো আবার শুরু থেকে করতে হবে। তাছাড়াও প্রিমিয়াম ডোমেইনে আপনি অনেক সুযোগ পাচ্ছেন যা সাবডোমেইনে পাবেন না। কাজেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছেন, কখন আপনার একটি ডোমেইন পারচেজ করা প্রয়োজন?
কাদের থেকে ডোমেইন কিনবেন?
ডোমেইন প্রোভাইডারদের মধ্যে নেমচিপ সবচেয়ে ভালো সার্ভিস প্রদান করে বলে আমার বিশ্বাস। আপনারাও নেমচিপ সম্পর্কে নিশ্চয় জানেন, এটি অনেক জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত একটি ডোমেইন-হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার, তাই নেমচিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে পোষ্ট বড় করলাম না। গোড্যাডি নিয়ে আমি বেশ কিছু কমিউনিটিতে অভিযোগ পেয়েছি, তাই আমি গোড্যাডি নতুনদের জন্য রিকমেন্ড করবো না। আর আমার ব্যাক্তিগতভাবেও গোড্যাডি পছন্দ না। দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক্সনহোষ্ট আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান করে আসছে, এবং এটি মোটামুটি পুরানো একটি কম্পানি। ২০১১ সালে কম্পানিটি ডোমেইন-হোস্টিং সার্ভিস দেওয়া শুরু করে। যদিও অনেকের দাবি এক্সনহোষ্ট এর সার্ভিস চার্জ দেশিয় অনান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের চেয়ে বেশি, তবে আমার কাছে প্রাইজ রিজনএবল এমাউন্ট মনে হয়েছে। আপনার ডোমেইনর সেফটির দিকটিও লক্ষ্য রাখতে হবে, শুধু দাম কম কোথায় সেটি দেখলে তো হবে না! তাছাড়া বর্তমানে ডলারের যে দাম তাতে এক্সনহোষ্ট থেকে ডোমেইন কিনলে নেমচিপের তুলনায় আপনার প্রায় ৪০০ টাকার মতো সেভ হবে। আমি নিজে নেমচিপ ব্যবহার করে আসছি তাই পোষ্টে আমি শুধু নেমচিপের ডোমেইন সেটআপ দেখাবো । কিন্তু ডলার দিয়ে পারচেজ করা সবার পক্ষে পসিবল না, অন্যদিকে এক্সনহোষ্টে আপনি বিকাশ রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়েও সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। তবে নেইমচিপ বলেন আর এক্সনহোষ্ট, দুটোর ডোমেইন সেটআপ পদ্ধতি কিন্তু একরকম। আর এদের বাহিরে অনান্য সস্তা ডোমেইন প্রোভাইডারদের থেকে নিলে আপনি ডোমেইন সেটআপ সমস্যায় ভুগবেন, ডোমেইন এর এসএসএল সার্টিফিকেট ইত্যাদি পাবেন না।ডোমেইন ক্রয়েয় পেমেন্ট
ডোমেইন ক্রয় করার জন্য আপনাদের নেইমচিপ ওয়েবসাইট সাপোর্ট করে এমন পেমেন্ট গেটওয়ের একাউন্ট থাকতে হবে। আপনি চাইলে অন্য কেউ কাউকে টাকা দিতে পারেন যিনি আপনার হয়ে ডলার পেমেন্ট করবে। অপরিচিত ব্যক্তির সাথে লেনদেন করার সময় অবশ্যই তার ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে নিন। এছাড়া আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন টেলিগ্রামে, একাউন্টে ডলার থাকলে পারচেজ করে দিতে পারবো। আর এক্সনহোষ্টে বিকাশ বা নগদ দিয়েও ডোমেইন কিনতে পারেবন।এছাড়া আপনাদের যাদের পাসপোর্ট আছে তারা খুব সহজে ইসলামি ব্যাংকের ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড পেতে পারবেন। কিভাবে ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড পাবেন? তা জানতে চাইলে কমেন্টে জানান।
নেমচিপ রেজিষ্ট্রেশন
সবার আগে নিচের দেওয়া লিংক হতে নেমচিপ ওয়েবসাইটে যান। সেখানে নিচের ছবির মতো একটি পেজ আসবে, কোনায় থাকা Sign Up লিখায় ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন পেজে যাবেন।মোবাইল ইউজাররা Sign In বাটনে ক্লিক করলে Sign Up এর অপশন পাবেন।
রেজিষ্ট্রেশন পেজে নিচের মতো ৬টি ফিল্ড থাকবে, এখানে
- একটি ইউনিক ইউজারনেম,
- নূন্যতম ৮ অক্ষরের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
- পুনঃরায় পাসওয়ার্ড
- আপনার আসল নামের প্রথম অংশ
- নামোর ২য় অংশ
- ইমেইল এড্রেস বসান
এবার Create Account and Continue বাটনে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনার ইউজারনেম উল্লেখ করে আপনাকে একটি ওয়েলকাম মেসেজ পাঠানো হবে।
নেমচিপ টপআপ
একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন শেষে ডোমেইন কিনার পালা। নেমচিপে ডট কম ডোমেইন কিনার জন্য আপনাকে প্রথম বছর নূন্যতম ৬ ডলার ১৬ সেন্টের মতো পেমেন্ট করা লাগবে (ICANN ফি সহ)। কাজেই আপনি কমপক্ষে ৬.১৬-৬.৫০ ডলার টপআপ করে নিবেন (৭-৮ ডলার রিকমেন্ড করি যদিও), অথবা আপনার নিজের ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকলে ডোমেইন ক্রয় করার সময় সরাসরি কার্ড থেকে পেমেন্ট করতে পারেন। টপআপ করার জন্য ড্যাশবোর্ড থেকে Topup অপশনে ক্লিক করুন।তারপর নিচের মতো পেজ আসবে সেখানে পেমেন্ট মেথড বেছে নেওয়ার অপশন আসবে।
এখানে আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পেমেন্ট করেন তাহলে নূন্যতম ১ ডলার টপআপ করতে পারবেন, তবে কার্ড বা পেপালে পেমেন্ট করতে নূন্যতম ৫ ডলার পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট মেথড বেছে Next বাটনে ক্লিক করুন, নিচের মতো পেজ আসবে সেখানে এমাউন্ট বসিয়ে Next বাটনে ক্লিক করুন
এবার যে পেজ আসবে সেখানে আপনার কার্ডের ডিটেইলস ও বিলিং এড্রেস দিবেন। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
এবার কনফার্ম পেজ আসবে সেখানে Charge and Proceed বাটনে ক্লিক করুন।
পেমেন্ট সাকসেসফুল হলে নিচের মতো একাউন্টে ফান্ড যুক্ত হয়ে যাবে।
নেমচিপ ডোমেইন ক্রয়
একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স যুক্ত হওয়ার পর এবার ডোমেইন কিনার পালা। ড্যাশবোর্ডে থাকা সার্চ বক্সে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি সার্চ করুন। এবং Add to cart(১) এ ক্লিক করে ডোমেইনটি কার্টে যুক্ত করুন। কার্টে যুক্ত হয়েছে কিনা তা চেক করতে উপরের কার্ট আইকনে (২) ক্লিক করুন।কার্ট আইকনে (৩) ক্লিক করলে View Cart অপশন আসবে।
ভিউ কার্টে (৪) ক্লিক করে অর্ডার পেজে যান।
এখন উপরের মতো পেজ আসবে, এখানে প্রোমো কোডের জায়গায় NEWCOM598 এই প্রোমো কোডটি বসাবেন ,তাহলে ২ ডলারের মতো বাড়তি সেভ হবে। প্রোমো কোড বসানোর পর কার্টের মোট মূল্য আপডেট হবে, এরপর Confirm Order বাটনে ক্লিক করুন।
এবার ৫টি স্টেপে আপনার আপনার অর্ডার কনফার্ম করা হবে। প্রথম স্টেপে নিচের মতো একাউন্ট ডিটেইলস চাবে, সেখানে নিজের নাম এবং অনান্য যেসব তথ্য চাচ্ছে দিবেন। তারপর Continue তে ক্লিক করুন।
২য় স্টেপে সেটআপ পেজে আসবেন, সেখানে দেখুন আপনার এড্রেস ঠিক আছে কিনা। ১ম স্টেপে সব ঠিকঠাক দিলে এখানে কিছু করা লাগবে না, Continue চেপে সোজা ৩য় স্টেপে চলে যান।
৩য় স্টেপে বিলিং পেজ আসবে সেখানে পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে নিন। যেহেতু আমি আগেই টপআপ করে নিয়েছি তাই এখানে আমি নিচের মতো Account Funds সিলেক্ট করে নিয়েছি। এবার Continue চাপলে আপনাকে অর্ডার রিভিউ পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
৪র্থ স্টেপে অর্ডার রিভিউ পেজে আপনার অর্ডারের বিবরণী পাবেন, সব ঠিকঠাক থাকলে Pay Now বাটনে ক্লিক করুন।
এবার একটি পপআপ বক্স/মোডাল আসবে নিচের মতো, সেটি ক্লোজ করে দিন।
ব্যাস!, আপনার ডোমেইন ক্রয় করা শেষ। এবার ডোমেইনটি এক্টিভ করা বাকি। ডোমেইটি এক্টিভ করতে আপনার ইমেইলে নেমচিপ থেকে নিচের মতো একটি মেইল আসবে। এখানে ২টি লিংক থাকবে ভেরিফাই করার জন্য, যেকোনো একটিতে ক্লিক করলেই ডোমেইন ভেরিফাই হয়ে যাবে।
যদি নেমচিপ থেকে কোনো মেইল না আসে তবে নেমচিপ ড্যাশবোর্ড হতে ডোমেইন লিস্টে যান। সেখানে নিচের মতো ভেরিফাই কন্টাক্ট অপশন থেকে রি-সেন্ড করতে পারবেন।
ভেরিফাই লিংকে ক্লিক করলে ডোমেইনটি ভেরিফাই হয়ে যাবে, নিচের মতো কনফার্ম মেসেজ দেখতে পারবেন।
এবার চাইলে আবার ড্যাশবোর্ডে গিয়ে ডোমেইন লিষ্টে ডোমেইন স্ট্যাটাস চেক করে আসতে পারেন, এক্টিভ দেখাবে। ডোমেইন ক্রয় ও এক্টিভ করা শেষ, এবার ডোমেইন সেটআপ করার পালা।
এক্সনহোস্ট ডোমেইন ক্রয়
এক্সনহোষ্ট থেকে ডোমেইন কিনতে প্রথমে নিচ থেকে এক্সনহোষ্টের ওয়েবসাইটে যান।এক্সনহোস্টে আপনারা বিকাশ দিয়ে পেমেন্ট করে খুব সহজে ডোমেইন কিনতে পারবেন। যেহেতু দেশিও পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে তাই এর জন্য নেমচিপের মতো আলাদা করে আগে একাউন্ট খুলে একাউন্টে ফান্ড যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। তবে আগে ফান্ড এড করতে চাইলে তাও পারবেন, অসুবিধা নেই। এক্সনহোষ্ট থেকে কিভাবে বিকাশ দিয়ে পেমেন্ট করবেন ও ডোমেইন কিনবেন তার উপর তাদের অফিশিয়াল বাংলা ভিডিও আছে তাই আমি আর পোষ্ট লম্বা করছি না। ভিডিওটি নিচে যুক্ত করে দিলাম।
আপনার ব্রাউজারে ভিডিওটি প্লে না হলে এখান থেকে ভিডিওটি দেখতে পারবেন
ডোমেইন সেটআপ
নিচে নেমচিপ ডোমেইন সেটআপ পদ্ধতি দেখালাম, এক্সনহোষ্ট বা বাদ-বাকি কম্পানিগুলোর ডোমেইন সেটআপও একই নিয়মে হবে। এরপরও আপনাদের ডোমেইন সেটআপ বা যদি অন্য কোন প্রোভাইডারের থেকে ডোমেইন সেটআপে সমস্যা হয় আমাকে টেলিগ্রাম বা ফেসবুকে নক করতে পারেন। ফ্রি থাকলে ইন-শা-আল্লাহ হেল্প করবো।নেইমচিপ ডোমেইন সেটআপ
তো, ডোমেইন ক্রয়ের পর এবার ডোমেইন সেটআপ করার পালা। প্রথমে আপনার ব্লগার ড্যাশবোর্ডে সেটিংস অপশনে যান, সেখানে কাষ্টম ডোমেইন অপশন এ ক্লিক করুন। নিচের মতো পপআপ বক্স আসবে।এবার বক্সে (১নং মার্ক) WWW সহ আপনার ডোমেইন নেমটি বসান। এবার সেভ বাটনে (২নং মার্ক) ক্লিক করুন। সেভ বাটনে ক্লিক করলে নিচের ছবির মার্ক করা লাল রঙের লিখার মতো কিছু লিখা আসবে (সেভ বাটনে ক্লিক না করলে এখানে কিছু থাকবে না)।
এখানে উপরের ছবিতে দেখুন, দুটি CNAME রেকর্ড দেওয়া আছে, প্রথমটি সবার জন্য একই তাই এটি কপি করা লাগবে না। ২য় CNAME রেকর্ড এর Name এবং Destination (gv থেকে com পর্যন্ত) এই দুটো টোকেন কপি করে সংরক্ষণে রাখুন। নিরাপত্তাজনিত কারণে আমার CNAME টোকেন উপরের ছবিতে মুছে দেওয়া হলো।
এখানে উপরের ছবিতে দেখুন, দুটি CNAME রেকর্ড দেওয়া আছে, প্রথমটি সবার জন্য একই তাই এটি কপি করা লাগবে না। ২য় CNAME রেকর্ড এর Name এবং Destination (gv থেকে com পর্যন্ত) এই দুটো টোকেন কপি করে সংরক্ষণে রাখুন। নিরাপত্তাজনিত কারণে আমার CNAME টোকেন উপরের ছবিতে মুছে দেওয়া হলো।
এবার ২য় একটি ট্যাব চালু করে নেমচিপ ডোমেইন লিষ্টে (Domain List) যান এবং যে ডোমেইনটি সেটআপ করতে চান সেটির পাশে থাকা ম্যানেজ (Manage) বাটনে ক্লিক করুন।
ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট অপশনে আপনি ৪ টি ট্যাব দেখবেন। সবার শেষে Advance DNS অপশনটি দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
এবার উপরের মতো পেজ আসবে। সেখানে প্রথমে মার্ক করা (১) CNAME গুলো ডিলেট করে দিন। এরপর নতুন করে রেকর্ড যুক্ত করার অপশনে (২) ক্লিক করুন। তারপর একটা একটা করে নিচের ছবির মতো CNAME রেকর্ডসমূহ বসান। (প্রথম অংশে Host বা Name ও দ্বিতীয় অংশে Value বা Destination বসাবেন।)
এখানে টোটাল ৬টা রেকর্ড সেটআপ করতে হবে, এর মধ্যে প্রথম দুটো CName Record আর পরের ৪টি A Record। প্রথমটিতে Host(বা Name) - www ; Value(বা Destination) - ghs.google.com লিখবেন।
২নং বক্সের CNAME রেকর্ডটি হবে আপনার সংরক্ষিত CNAME রেকর্ড (ব্লগার সেটিং এ ডোমেইন বসানোর পর যে দুটো CNAMEs দেয় তার ২য় টা)। আর বাকি চারটি রেকর্ড হবে A Records, যেগুলোর Host (বা Name) এর জায়গায় @ বসবে। Value (বা Destination) এর জায়গায় নিচে থাকা আইপি এড্রেসগুলো কপি করে নিয়ে বসান।
- 216.239.32.21
- 216.239.34.21
- 216.239.36.21
- 216.239.38.21
ব্লগার এ নেকেড ডোমেইন সেটআপ করা যায় না। আপনি হয় www সহ টপ লেভেল ডোমেইন সেট করতে পারবেন অথবা সাবডোমেইন সেট করতে পারবেন। উদাহরণঃ www.techlegionbd.com বা en.techlegionbd.com ।
নেমচিপ প্রোমো কোড
নিচে নেমচিপের এক্টিভ কিছু প্রোমোকোড দিলাম যেগুলো আপনাদের কিছুটা হলেও সাশ্রয় করবে বলে আমার বিশ্বাস।- ডট কম ডোমেইন ক্রয় করতে ব্যবহার করুন - NEWCOM598 । (৫.৯৮ ডলারে ১ বছরের জন্য ডট কম ডোমেইন)
- ডোমেইন রিনিউ করতে ব্যবহার করুন - COUPONFCNC । (যেকোনো ডোমেইন রিনিউ করতে ২০% ছাড়)
প্রশ্ন উত্তর
ডোমেইন সেটআপ করতে গিয়ে, করার পরে বা আগে আপনারা অনেক প্রবলেম ফেস করেন। ডোমেইন নিয়ে স্পেসিফিক প্রশ্ন উত্তর লিখতে গেলে আলাদা করে থ্রেড খুলতে হবে। তাই আমার মনে হয়েছে আপনাদের সেসব প্রশ্নগুলো আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন, চেষ্টা করবো উত্তর দেওয়ার। এছাড়া সরাসরি ফেসবুক বা টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রশ্ন করতে পারেন।পোস্টটি কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের লিখা টিউটোরিয়াল আমাদের ব্লগে পাবলিশ করতে আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও যুক্ত থাকতে পারেন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে